শিরোনাম :
সাপ্তাহিক আলোর মনি পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে আপনাকে স্বাগতম। # সারাবিশ্বের সর্বশেষ সংবাদ পড়তে আমাদের সঙ্গেই থাকুন। -ধন্যবাদ।
শিরোনাম :
লালমনিরহাটে হেমন্তের বিদায়লগ্নে জেঁকে শীতের দাপট লালমনিরহাটের নদীগুলোর চরে এখন সবুজ বিপ্লব লালমনিরহাটে চাকরীচ্যুত সকল বিডিআর সদস্যকে চাকরীতে পুনর্বহালের দাবিতে- মানববন্ধন অনুষ্ঠিত বিএনপি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করে: লালমনিরহাটে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু লালমনিরহাটে এলসিসিআই মডেল স্কুলের পাঠ সমাপনী ২০২৪খ্রি. অনুষ্ঠিত লালমনিরহাটে দিন দিন কমছে আখ চাষ লালমনিরহাটের শালবন হতে পারে পর্যটন কেন্দ্র লালমনিরহাটে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটির সদস্যদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মশালা অনুষ্ঠিত লালমনিরহাট জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে নির্বাচিত হলেন যাঁরা! সার সিন্ডিকেট হোতারা ধোঁয়া ছোঁয়ার বাহিরে কেন
দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের স্থিতিশীল পেঁয়াজ ও রসুনের দাম

দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের স্থিতিশীল পেঁয়াজ ও রসুনের দাম

আলোর মনি রিপোর্ট: বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই লালমনিরহাটের কাঁচা বাজারগুলোতে হঠাৎ করেই কাঁচা মরিচের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। তবে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 

লালমনিরহাটের পাইকারি ও খুচরা বাজারে খবর নিয়ে জানা গেছে, কিছুদিন আগেও কাঁচা মরিচ ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছিল। তবে বর্তমানে পণ্যটি ৮০টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে সরবরাহ সংকটের অজুহাতে ব্যবসায়ীরা পণ্যটির দাম বাড়িয়েছে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ভোক্তাদের।

 

পাটগ্রাম উপজেলার কাঁচা বাজার ব্যবসায়ী মোঃ রুস্তম আলী বলেন, কাঁচা বাজারে নিত্যপণ্যের দাম তেমন বাড়েনি। তবে কাঁচা মরিচের দাম এক সপ্তাহ আগেও কেজিপ্রতি ৩০টাকা ছিল। এখন দাম বেড়ে ৮০টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। তবে অন্যান্য খাদ্যশস্যের দাম স্থিতিশীল রয়েছে বলে দাবি করেন।

 

মোঃ রুস্তম আলী আরও বলেন, বাজারে পটোল ৪০টাকা, করলা ৪০টাকা, ঢেঁড়স ৩০টাকা ও দুধকুশি ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

বাজার ঘুরে জানা যায়, কাঁচা মরিচের দাম বাড়লেও পেঁয়াজ ও রসুনের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। রসুন আগের মতোই প্রতি কেজি ৮০টাকা হতে ১২০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে দেশী পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ৫০টাকা ও আমদানীকৃত পেঁয়াজ ৪০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

 

এদিকে জেলার বাজারগুলোতে অন্যান্য খাদ্যশস্যের দামও চড়া। কাঁচাবাজারের পাইকারি আড়তের তুলনায় খুচরা বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হচ্ছে খাদ্যশস্য। পাইকারি বাজারে আলু ১৭টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে ২০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশী আলু পাইকারিতে ২৫টাকা ও খুচরা বাজারে ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে পটোল ৪০টাকা, ঝিঙা ৪০টাকা, ঢেঁড়স ৩০টাকা ও রসুন ৮০টাকা হতে ১২০টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

লালমনিরহাট গোসালা কাঁচাবাজারের পাইকারি আড়ত ব্যবসায়ী মেসার্স সুমাইয়া ট্রেডার্সের প্রোপ্রাইটর মোঃ আলম হোসেন বলেন, করোনায় এখন পর্যন্ত কাঁচাবাজারের পণ্য লেনদেনে কোনো প্রভাব পড়েনি। পাইকারি কিংবা খুচরা ক্রয়-বিক্রয়েও নেতিবাচক প্রভাব নেই। তবে বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ায় কাঁচামরিচের সরবরাহ হ্রাস পাওয়ার কারণে দাম বেড়েছে। বর্তমানে পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ ৬৫-৭০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মোটামুটি অন্যান্য সবজির দাম স্বাভাবিক বা স্থিতিশীল রয়েছে।

 

তিনি আরও জানান, এ বছর ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তাই পেঁয়াজ-রসুনের দাম বৃদ্ধির তেমন কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে কেউ যাতে সিন্ডিকেট করে কাঁচাবাজারে পেঁয়াজ-রসুনসহ খাদ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি করতে না পারে সেদিকে সরকারকে নজর রাখতে হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন




এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা ও ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি
Design & Developed by Freelancer Zone